এটা বড় কোন গোপন বিষয় নয় যে, গ্রাহকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং বজায় রাখা যে কোন ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এই সম্পর্কের ধরন অনেকসময় ভিন্ন হয় শিল্প ও নিয়মানুবর্তিতা অনুসারে, সেখানে সবসময় একটা সাধারণ প্রেক্ষাপট থাকে যে আপনার সাথে চলার সময় আপনি গ্রাহকের চাহিদা অনুভব করতে পারবেন।
আস্থার একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করুনঃ
আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্কের শুরু থেকেই আস্থার ভিত প্রতিষ্ঠা করতে হবে পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখার জন্য। এটা অর্জনের জন্য, আপনার প্রতিষ্ঠানকে সবসময় কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ এবং সৎ হতে হবে ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে এই পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যতম একটি সহজ উপায় হল সেবার ঘোষণা-পত্র তৈরি করা অর্থাৎ আপনি কি কি সেবা দিবেন। এই সেবার ঘোষণা-পত্র আপনার প্রতিষ্ঠানের মুল উদ্দেশ্যগুলো আপনার কর্মীদের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করাবে এবং আপনার বর্তমান ও নতুন গ্রাহকদের স্বচ্ছতা দিবে কিভাবে আপনি আপনার পেশাদারী সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিবেন।
উপলব্ধি করুন আপনার গ্রাহকদের চাহিদাঃ
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যতো বেশি আপনি আপনার গ্রাহক সম্পর্কে জানবেন, ততো বেশি আপনি তাদের প্রয়োজন অনুসারে সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারবেন। গ্রাহকদের চাহিদাগুলি পূরণের জন্য আপনার পরিবর্তন এবং সেবা তৈরির প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত একটি বড় ফ্যাক্টর হবে যদি কিনা তারা আপনার সেবা স্থায়িভাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। আপনার সেবার দুর্বল ও ভালো দিকগুলো সনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল নিয়মিত ক্লায়েন্ট-ক্লায়েন্টদের সাথে আলোচনা করা। আপনি যদি গ্রাহকদের সাথে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন না করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন আপনি যে ব্যবসায়ই করেন না কেন, তাই আপনার উচিৎ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা। এভাবে সময় ও সহায়তা করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
কার্যকরভাবে একটি সঙ্কটের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবেঃ
ব্যবসায় কিছু ভুল হওয়া, এটি যে কোন নব্য শিল্পের জন্যএকটি দুঃখজনক বাস্তবতা। যখন কিছু ভুল হয় সেই সম্পর্কে যদিও আপনি সবসময় ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না, কিন্তু আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন এই অসুবিধাগুলো সমাধানের সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায় খুঁজে। ব্যবসায় সবসময় ভালো সময় যাবে এটা শুধু গণ্য করা হয় না বরং কিভাবে একটা সমস্যা সমাধান করা যায় সেটাও গণ্য করা হয়। কোনো সমস্যার দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যতে আপনার প্রতিষ্ঠানের নির্ভরযোগ্যতা আরও সঞ্চারিত করতে পারেন।
অংশীদার হওয়াঃ
আপনার গ্রাহকদের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলার কারনে, তাদের সাথে একটি বড় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মতো আপনাকে কাজ করার পরিবেশ দিবে যা উভয় পক্ষকে লাভবান করবে। সংগঠনের সাথে গ্রাহকদের ভালো সম্পর্ক থাকা বলতে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে পারস্পরিক লাভকে বোঝায়। পরিশেষে বলা যায় যে, যতদিন উভয় পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি অংশীদারিত্ব পদ্ধতির অনুসরন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, ততদিন তারা একটি দীর্ঘ এবং উপকারী পেশাদার সম্পর্ক আশা করতে পারবে।
মন্তব্য করুন